কক্সবাজার শহরের নগরায়নে গতিধারা

 

Abstract:

Urbanization is very important for developing country like Bangladesh. For this reasion, after liberation emphasis has been given  on urbanization from govt. level. For urban development of any city or town landuse survey and socio-economic  condition of the place is must. We have selected Cox’s Bazar town from economic point of view and also for  changing demographic characteristics of the city. The research work is mainly based on primary and secondary data. The problems and solutions of the city has been shown through the research work

বাংলাদেশের স্বরনির্ভর ও স্থিতিশীল অর্থনীতি গড়ে তোলা এবং জনগনের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নগরায়ন খুবই জরুরী । এই উপলদ্ধি থেকে স্বাধীনতা উত্তর কাল হতে সরকারি ভাবে এদেশে নগরায়নকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। নগরের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিশ্লেষণ  ও উন্নয়ন এবং  সর্বোপরি ভূমিব্যবহার পরিবর্তনশীলতা পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে গবেষণার একান্ত প্রয়োজন। এ উপলদ্ধি থেকে নগরের গুনগত মান, জনমিতিক বৈশিষ্ট্য, অথনৈতিক অবস্থা, আবাসিক ও পরিবেশগত অবস্থা এবং তাদের কার্যক্ষেত্রে সমস্যার প্রকৃতি অনুসন্ধান করা, কক্সবাজার নগরের আর্থ সামাজিক অবস্থা ও সমস্যার প্রকৃতি নিরুপন করে এর নগরায়নের গতি ধারা যাচাই করাই বর্তমান গবেষণার  প্রধান  উদ্দেশ্য।  এখানে প্রাথমিক ও দ্বিতীয় পর্যায়  থেকে তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত তথ্যাদির  উপর ভিত্তি করে  অবস্থা বিশ্লেষণ, অর্থনেতিক গুরুত্ব, পরিবেশের উপর প্রভাব, সমীক্ষা এলাকার ভূমি ব্যবহার এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থা সঠিক চিত্র নিরুপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। সমীক্ষা এলাকার নগরায়নের সার্বিক সমস্যাবলী এবং সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা ও সুপারিশমালা প্রদান এই গবেষণার  বিষয়বস্তুর অন্তর্ভূক্ত।


সমীক্ষার বিষয় নির্বাচন : 

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল ও জনবহুল দেশ। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার অধিকাংশ কৃষিতে নিয়োজিত হতে হতে এমন অবস্থায় পৌছেছে যে, বর্তমানে কৃষি খাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে  ফলে মানুষ বাধ্য হয়ে শহরের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যে হারে নগরের প্রসার লাভ করেছে তা এক কথায় অভাবনীয়। বস্তুত এপর্যন্ত  প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে বাংলাদেশের নগর অত্যন্ত নিম্ন মানের । মান সম্মত নগরায়ন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করা হয়। এই খাতে যুতসই উন্নয়নের জন্য এখন থেকেই পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা  উচিত। এরূপ একটি প্রয়োজন ইতোমধ্যেই পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশবিদ ও নীতি নির্ধারকদের মধ্যে দারুনভাবে অনুভূত হচ্ছে। এই তাগিদ থেকেই ভৌগলিক এবং আর্থ সামাজিক সমীক্ষাটি গ্রহণ করা হয়েছে।


সাহিত্য পর্যালোচনা : 

বাংলাদেশের নগরায়ন নিয়ে উল্লেখযোগ্য গবেষণা সম্পাদিত হলেও কক্সবাজার শহরের নগরায়নের ধারা নিয়ে কোন ধরনের গবেষণা সম্পাদন করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পারিনি। যদিও আমরা বিভিন্ন পত্র পত্রিকা, বই, জার্নাল, বিভিন্ন রিপোর্ট  থেকে নানাবিধ তথ্যাদি পেয়ে থাকি তার পরেও উক্ত বিষয় নিয়ে কোন ভৌগোলিক গবেষণা সম্পাদন হয়নি। ফলে বর্তমান গবেষণাটি কক্সবাজার শহরের নগরায়নের ধারা জানার একটি প্রাথমিক প্রয়াস।


লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে : 

বাংলাদেশের কক্সবাজার শহরের নগরায়নের ধারা জানা এই গবেষনার মূল লক্ষ্য।সামনে রেখে আলোচ্য  গবেষণাটি সম্পন্ন করার জন্য কতগুলো সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যেকে হাতে নেয়া হয়েছে। এগুলো হল -

ক্স   কক্সবাজার শহরের জনমিতিক বৈশিষ্ট্য ও অর্থনৈতিক অবস্থা অনুসন্ধান করা । 

ক্স   কক্সবাজার শহরের সমস্যার প্রকৃতি বিশ্লেষণ করা 

ক্স   শহরের নগরায়নের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে এর ধারা নিরুপন করা

ক্স   গবেষণার  ফলাফলের আলোকে কক্সবাজার শহরের পরিবেশের বিরুপ প্রভাব সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কিছু সুপারিশ করা ।   


তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ :

যেহেতু গবেষণাটি প্রাথমিক তথ্য ভিত্তিক সেহেতেু বর্তমান গবেষণাটিতে নমুনায়নের ভিত্তিতে প্রশ্নমালার সাহায্যে উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে । কক্সবাজার শহর কে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করে, বসতির বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে আবার এই অঞ্চল কে একাধিক গুচ্ছে ভাগ করে দৈব চয়নের মাধ্যমে  তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।  ফলে জরিপটি প্রতিনিধিত্ব মূলক হয়েছে বলে আশা করা যায়। ঐ এলাকায় অবস্থিত  হোটেল মালিক, ম্যানেজার, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সরেজমিনে সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন উৎস যেমন  বইপত্র, রির্পোট,  অপ্রকাশিত থিসিস হতে তথ্য প্রভৃতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। এছাড়া  স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা গুলো থেকে পাওয়া তথ্যসমূহ পর্যালোচনা ও ব্যবহার করা হয়েছে।

সীমাবদ্ধতা : 

 বিভিন্ন কারণ বর্তমান গবেষণার  কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েগেছে। পর্যাপ্ত  সময়ের অভাব ও কক্সবাজার শহরের নগরায়নের উপর পূর্বে বাংলাদেশে কোন ভৌগোলিক গবেষণা সম্পাদন হয়নি। এই জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের উৎস হতে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ ও ধারণা প্রাপ্তিতে যথেষ্ট সীমাবদ্ধতা ছিল। পৃষ্ঠাসংখ্যা বাধ্যবাধকতায় এই গবেষণাটি সম্পাদনে আরো অধিকতর তথ্য আহরণ ও সংযোজন সম্ভব হয়ে উঠনি । তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বহুবিধ সমস্যা ও সীমাবদ্ধতার মধ্যে যারা তথ্য প্রদানে অনাগ্রহী, তাদেরকে আলোচ্য গবেষণায় তুলে ধরা হয়নি । কক্সবাজার শহরের সীমানা নিয়ে বিরোধ বিচারাধিন। যা আলোচ্য গবেষণার  অন্যতম সীমাবদ্ধতা ।




Comments

Popular posts from this blog

প্রত্যয়ণ পত্র এ মর্মে প্রত্যয়ণ করা যাইতেছে যে, এমএসসি ডিগ্রি অর্জনের আংশিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পরিবেশ বিভাগ

Sundarban